একটা ভালো ও সুবোধ সরকার চাই। পোষা কাঠবেড়ালির মত।
মাছ খাবে ও দুধ। হেলমেট পরবে না। চোখ হবে প্রেমিকার মত।
তখনই হবে বিপ্লব, হে প্রিয় বন্ধুগণ।
তার আগে অহিংস বিপ্লবের ন্যূনতম পরিবেশের জন্য আমাদের সমবেত প্রার্থনা।
একটি রসগোল্লা পুলিশবাহিনী চাই। ঝুরঝুরে দয়ালু সরকার। আমরা সহিংসতা ঘৃণা করি।
বিপ্লব হবেই হবে। তার আগে নীতিমালা চাই।
সবকিছু নিয়মমত চলুক।
খুন যদি হতে হয়, খুন হবার নীতিমালা চাই।
কতদূর খুনী হলে পরে, আমিও খুন হবো নাকো।
কোথায় গিয়ে থামলে, পুলিশেরা দেবে ফুল, কামড় দেবে না, সেইসব নীতিমালা।
কবিতার জন্য ছন্দ ও বানানরীতি। যতিচিহ্ন ও রবীন্দ্রঠাকুর।
কোথায় গিয়ে থামলে, পড়শির আনন্দ-ব্যথা হবে-
এমন গান ও কবিতা। অমিত-লাবণ্যগাঁথা।
যতিচিহ্ন বলে দিন হে রাষ্ট্র।
যেতে যেতে অকষ্মাৎ পুলিশ যদি হয়ে উঠেন কবি ও
সীমান্তঠাকুর, পথে যেতে যেতে-
খুন যদি হয়ে যাই, তবে বিপ্লব মাঠে মারা যাবে।
আমি অত তাড়াতাড়ি মরতে চাই না। অন্তত বিপ্লবের আগে।
ভাল ও সুন্দর পরিবেশ পেলে আমি গেরিলা হবো।
টি শার্টে নাম থাকবে আমার। ফ্যাশন ও বিপ্লব।
আমি হবো ক্ষুদিরাম, তোমরা আমাকে সে সুযোগ দেবে নিশ্চয়।
তিতুমির হবো, কিন্তু তার জন্য একটু সরকারি জমি দরকার। নচেৎ কোথায় হবে বাঁশের কেল্লা?
আমি উসামা হবো। উসামা অয়েল কোম্পানী।
আমি হবো লায়লা খালিদ। আকাশপথের আততাঁয়ী।
হে রাষ্ট্র, আমাকে তোমার বিমানগুলো পাঠিয়ে দাও, এক্ষুণি করবো ছিনতাই।
ওগো পুতুপুতু প্রেমিকা আমার। তুমি এখন না পাঠাও যদি বিমান, বিপ্লব কীভাবে হবে?
যদি তুমি গুলি করো, হে পুলিশ, তবে কীভাবে বিপ্লব?
বিপ্লব কি খারাপ জিনিশ, কেন গুলি কর?
গুলির জন্য নীতিমালা দরকার।
ওগো রাষ্ট্রপুটুশ, একটুও নীতিমালা ছাড়া কীভাবে থাকো তুমি? তুমি এত খারাপ ক্যান?
মাফিয়াদেরও নীতিমালা থাকে, ফ্যামিলি।
তুমি সব নীতিমালা ভঙ্গ করছো। তোমার ভব্যতা নেই।
আমরা তো নিয়মতান্ত্রিক বিপ্লব চাই। কেন ক্রসফায়ার?
ন্যূনতম নীতিমালা না থাকলে কোথাও বিপ্লব সম্ভব, আপনারাই বলুন হে বিপ্লবী বন্ধুগণ!
আমরা সরকারের কাছে বিপ্লবের অনুকুল পরিবেশ তৈরীর জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাষ্ট্র তুমি ভাল হয়ে যাও।
খোকাসোনা। দুধভাত খাও।
রাষ্ট্র তুমি তৃণভোজি হও। ফেরেশতা হও।
ফেরেশতা হয়ে কাছে আস।
আমরা বিপ্লবী হবো।
একটি বিপ্লবের অনুকুল পরিবেশের জন্য
আমাদের অপেক্ষা মিথ্যে হবে না।
সবকিছু নিয়ম মতো চললে, বিপ্লব হবেই।
একটি শ্বাসত নিয়মতান্ত্রিক বিপ্লব।