রিফাত হাসানের স্বর আলাদা।
ভাষা, চিন্তার ধরণ এবং সেইটারে এক্সপোজ করবার স্ট্যাইল আলাদা।
আলাদা এই অর্থে বলতেছি যে এই সমাজ ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ (জনকল্যাণমূলক) বুদ্ধিজীবীদের চিন্তার প্যাটার্ন ও স্ট্যাইল আপনে সহজেই ধইরা ফেলতে পারবেন। একঘেয়েও লাগতে পারে। রিফাতের ক্ষেত্রে এইটা বৈচিত্র্যপূর্ণ বেশ।
রিফাত হাসানের বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা ইন্টারেস্টিং, সরল নয় বরং জটিল। এই জটিলতারে আরও উপভোগ্য কইরা তুলতে উনি ফরহাদ মজহারের লগে মেশেন এবং হেফাজত কিংবা জামাতের বলয় থিকাও কেমন পিছলাইয়া বাইর হইয়া যান।
বুদ্ধিজীবী হিসেবে এইযে সর্বত্র বিচরণের সক্ষমতা ও সদ্বিচ্ছা তা আমাদের বর্তমান বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে অনেকটাই বিরল ।
ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোরশেদ, ইমরুল হাসান, পিনাকী ভট্টাচার্য কিংবা জিয়া হাসানের ভাষা এবং সমালোচনার ধরণের থিকা রিফাত হাসান বেটার মনে হইছে আমার।
মানে উনি কখনোই কাউরে প্রতিপক্ষ ভাইবা বা কাল্পনিক প্রতিপক্ষের লগে সমালোচনা করতে গিয়া যুদ্ধের ময়দানে নাইমা পড়েন না। সেইটারে রিড করা যায় উনার বক্তব্যের প্যাটার্ন ভাষা আর সাবলীলভাবে প্রশ্ন করতে পারার সক্ষমতা দেইখা।
মজলুমের বুদ্ধিজীবী হিসেবে (খাটো বা ছোট করা হইল কিনা) রিফাত হাসানের বুদ্ধিজীবিতায় কে রাজা কে প্রজা বা আশরাফ-আতরাফ, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু এইরূপ শ্রেণিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভাজন খুঁইজা পাবার সুযোগ নাই।
সত্য বা ন্যায়ের পিছেও উনারে হুদাহুদি দৌঁড়াইতে দেখি নাই কখনো যেইটা আমাদের বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবীরা হরহামেশা করেন এবং পরবর্তীতে পস্তাইতে থাকেন।
রিফাত হাসানে মুগ্ধতা আছে বাট স্বস্তি নাই এখন পর্যন্ত। এই অস্বস্তি নিয়া আমাদের যাবতীয় সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও রাজনীতির জার্নি চলতেছে।
শেখ এখতিয়ার বাকী, লেখক।