জল্লাদখানার ভেতরে একটি গানের পাখি ঢুইকা পড়ল।
এইবার যা হতে পারে: পাখিটা খুন হবে। নয়তো, জল্লাদগুলো বাঁইচা উঠবার তরে একটি প্রেমের গল্প সাজাবে।
আমরা তখন পাখির মাংস নিয়ে আলাপ করছিলাম।
সুস্বাদু, তার গানের চেয়ে মিষ্টি। অথবা আপনি কীভাবে বুঝলেন, পাখি গানই গায়? পাখি তার মাংসের দিকে প্রলুব্ধ করে, জল্লাদখানায় মোটামুটি কনসেনসাস হল এরকম। নয়তো সে চুরি কইরা জল্লাদখানায় ঢুকল কী করতে? পাখিটা চোর?
জল্লাদখানায় কবিতাও হয়। জল্লাদখানায় বইসা কবিতা পাঠ। হাঃ হাঃ।
আমাদের বিতর্ক হল এরকম: এখানে কবিরা জল্লাদ হবে? নাকি জল্লাদদের সামনে বইসা কবিতা পড়বে?
অথবা, হাঃ হাঃ, কবিতার ভাষা কী হবে? প্রমিত? পাখির তুলতুলে মাংসের মতন?
জল্লাদখানায় আপনি পাখির মতো স্বাধীন। খুন হবার ইচ্ছেমতো তরিকা বেছে নিতে পারেন।
অবশ্যই, আপনি চাইলে গানও গাইতে পারেন। তুলতুলে, সুস্বাদু, প্রলুব্ধকর। অথবা, আপনি সামাজিক হতে পারেন। জল্লাদ।