Latest Articles of Rifat Hasan

একটা ভালো ও সুবোধ সরকার চাই। পোষা কাঠবেড়ালির মত। মাছ খাবে ও দুধ। হেলমেট পরবে না। চোখ হবে প্রেমিকার মত।   তখনই হবে বিপ্লব, হে প্রিয় বন্ধুগণ।   তার আগে অহিংস বিপ্লবের ন্যূনতম পরিবেশের জন্য আমাদের সমবেত প্রার্থনা। একটি রসগোল্লা পুলিশবাহিনী চাই। ঝুরঝুরে দয়ালু সরকার। আমরা সহিংসতা ঘৃণা করি।   বিপ্লব হবেই হবে। তার আগে নীতিমালা চাই।   সবকিছু নিয়মমত চলুক।   খুন যদি হতে হয়, খুন হবার নীতিমালা চাই। কতদূর খুনী হলে পরে, আমিও খুন হবো নাকো।   কোথায় গিয়ে থামলে, পুলিশেরা দেবে ফুল, কামড় দেবে না, সেইসব নীতিমালা।   কবিতার জন্য ছন্দ ও বানানরীতি। যতিচিহ্ন ও রবীন্দ্রঠাকুর।  …

ছবি সূত্র: Demotix: The Network for Freelance Photojournalists/ http://bit.ly/18L0bAL গ্রাম থেকে শুদ্ধ মানুষের ঢল এসে একদিন শহর দখল করে নেবে, এই কবিতা দিয়ে যারা একদিন সাহিত্য গান করেছিলেন, সেই তারাই হেফাজতের গেঁয়ো মানুষদের গণহত্যাযজ্ঞ ও শহর ছাড়া করায় যৌথ বাহিনীকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। আমরা মনে রেখেছি আপনাদের বিপ্লব ও সাহিত্যকলা। কওমি মাদ্রাসা: আমার শৈশবের জবানবন্দী- শিরোনামের গদ্যের দ্বিতীয় পর্ব লেখার কথা ছিল। বন্ধু, শুভাকাক্ষি এবং আগ্রহীদের প্রচুর অনুরোধ এসেছে, এই লেখাটা যাতে অন্তত আর এক পর্ব লিখি। কিন্তু সেই পর্ব আর লেখা হল না কোনভাবেই। স্মৃতিকথা না হয় নাই লিখলাম, হেফাজত যে আন্দোলনের সূচনা করেছে, সেই আন্দোলনের একটা আলাপ/পর্যালোচনা লিখবো বলেছিলাম।…

এইসব ভণিতা। আসল আলাপ হলো, আমার বন্ধুর সংখ্যা কমতেছে আবার বাড়তেছে। বাড়তেছে, কারণ সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও রাজনীতিই আমার কাজ। আবার কমতেছেও। যেমন, সম্প্রতি ফেসবুকে সলিমুল্লাহ খান নামের একজন লেখক ও বুদ্ধিজীবী আমারে ব্লক করেন। আমি সলিমুল্লাহ খানসহ সবার লেখালেখি পাঠ করার ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক। বর্তমান নোটটা এই গণতান্ত্রিক পাঠের অভিজ্ঞান।

শাহবাগ যাবো, যেতে চাই, কিন্তু আমি যেখানে থাকি, তার থেকে শাহবাগের দূরত্ব অনেক। সেই দূরত্ব ঘুচানো যেত, কিন্তু যে দূরত্বটি স্রেফ স্হানিক পরিমাপ দিয়ে ঘুচানো যাবে না, তা নিয়েই এই নোট।

কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের গল্পেই কি সব শেষ হয়ে যায়? গল্পের অপরাপর চরিত্র, যারা উচ্চারিত হলো না, তাদের খোঁজ কি আমরা একটু হলেও নেব না? অন্তত বুদ্ধিজীবী সমাজের গল্পের সাথে সম্পর্কিত করে হলেও, সেটি করার চেষ্টা করি এবার।

কোন নাগরিককে বিদ্যমান আইনের অধীনে বিচার ও শাস্তি দিতে গিয়ে আইন এবং সংবিধানের বরাত ছাড়া কোন মন্তব্য, যা ব্যক্তি-আক্রমণ ও অপমানের পর্যায়ে পড়ে, তা করার অধিকার কি ‘মহামান্য’ আদালত আদৌ সাংবিধানিকভাবে সংরক্ষণ করেন? আবার এইসব মামলায় যদি আদালত নিজেই পক্ষভুক্ত হন, যেমন আদালত অবমাননার মামলা- তখন? আইন ও আদালতের শাসন নিয়ে আমাদের বর্তমান পাঠের বোঝাপড়ার দায় আপাতত এই জায়গাটি থেকে।   ১.   গ্রীক পণ্ডিত প্লেটো তাঁর আদর্শরাজ্যের রাজা হিশেবে দার্শনিকদেরকে বেছে নিয়েছিলেন, কেননা, তাঁর মতে, দার্শনিকগণ জ্ঞান এবং সত্যের প্রতি ভালবাসা লালন করেন এবং তার মাধ্যমে প্রজ্ঞাতে উপনীত হন।  তাই, দার্শনিকরাই ভাল এবং মন্দের বিচার প্রজ্ঞার সাথে করতে সক্ষম। …

আসুন আমরা কিছু উপরি আলাপের ভরসা নিই, নিয়তে ধর্ম।  কেননা জগতের যে কোন সমস্যা মূলত দার্শনিক ও ধর্মীয়।  সেই দিক থেকে ধর্ম অনেক গভীরতর জিজ্ঞাসা ও আলাপ জাগরিত করে।  জাগতিক দুনিয়াদারিতে আমরা উপরিভাগের যে আলোচনা নিয়ে মত্ত থাকি, ধর্ম তারও গোপন কায়কারবার নির্ধারণ করে।  কারণ ধর্মই নৈতিকতা, নন্দন ও রাজনীতির স্বাভাবিক গতিপথের নির্ধারক।  আলাপের প্রথমে কিছু প্রশ্নর ফয়সালা করতে হয়।  যেমন মানুষ হিশেবে প্রথমত নিজের অস্তিত্ব এবং অপর, তার বরাতে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও রাজনীতি যার মধ্যে প্রতিদিন আমরা জারিত হই, লেখালেখি, বুদ্ধিজীবীতা ও নন্দন চর্চা করি, এইসবের একটা বিচার বিবেচনা খাড়া করা।  মূলত বন্ধুত্ব করলেও, বুদ্ধিজীবীরা আমাদেরকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন…