Interview
Interview, কথাবার্তা
রিফাত হাসানের সঙ্গে

তো, দাদী হল কি, উনি আমাদের গ্রামের ভেতরে সবচেয়ে বুজুর্গ মানুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন আর কি!— খুবই সুন্দরী ছিলেন। এমন পরহেজগার ছিলেন যে, উনার কেউ কখনো দেখা পাইতেন না। এমনকি বাইরের মহিলারাও উনাকে দেখতে পাইতেন না। তাদের সামনেও আসতেন না আর কি! কারণ তাদেরে পরপুরুষ দেখেছে। তো আমরা যেটা করতাম— সেটা হচ্ছে, আমরা যখন ছোট ছিলাম, সেসময় উনার সামনে বসে বসে বিষাদ সিন্ধু পড়ে পড়ে শুনাইতাম।—
Interview, কথাবার্তা
মানতিকুত তায়ের: ইন্টারভিউ উইথ বানান

কবিতা জিনিসটার ব্যাপারে আমাদের এখানে অনেকরকম স্বপ্ন-কল্পনা আছে। ধরেন, একটা ফর্ম কল্পনা করে নিই, যে, আমরা এখানে না যাওয়া পর্যন্ত কবিতা হবে না। তো, মানুষের, মানে, মানুষ যদি কোন একটা গন্তব্যে পৌঁছে যায়, সেইটারে আর কবিতা বলা যাবে না। আপনি দেখবেন, এটা একটা বিখ্যাত, ফরিদুদ্দিন আত্তারের একটা বিখ্যাত বই আছে, মানতিকুত তায়ের, তো এইটা হচ্ছে একটা জার্নি, অনেকগুলা পাখির একটা জার্নি, তো তারা যখন তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়, তারা আসলে এই জার্নির কথাই ভুলে যায়। তাদের তখন যেটা হয়, সেটা হচ্ছে, তারা টের পায় যে -তারা নিজেরাই সী-মোরগ! তারা যায়ই কিন্তু সি-মোরগের জন্য। সি-মোরগের সাথে দেখা করার জন্য। কিন্তু ওরা…
Interview, অন্যান্য, কথাবার্তা, গ্রন্থ
শাহবাগ আন্দোলন যদি যুদ্ধাপরাধ বিচারের একটা অবজেক্টিভ ক্রিটিক তৈরি করতে পারত

শাহবাগ আন্দোলন যদি যুদ্ধাপরাধ বিচারের একটা অবজেক্টিভ ক্রিটিক তৈরি করতে পারত, আমরা সবাই শাহবাগ আন্দোলনকে ওয়েলকাম জানাতাম। এবং এইটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ হইত। কারণ হচ্ছে কী, যুদ্ধাপরাধ বিচারের ব্যাপারটা হচ্ছে, সবসময় আমি বলি, সেটা হচ্ছে, একাত্তর সালে যেসব অমীমাংসিত বিষয় ছিল, অমীমাংসিত বিষয়গুলো যদি আমাদের এখানে, আপনার একটা অবজেক্টিভ ভাবে মীমাংসা করতে না পারি আমরা, আমরা যদি বলি যে, আমরা আসলে জাতীয়তাবাদের যেসব পেনিক ব্যাপার আছে এগুলোর ধোয়া না তুলে, এইটার তো সমাধান করে ফেলতে হবে। যদি আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিয়েও চিন্তা করি, বাকি সব কথা বাদ, তো এগিয়ে যাওয়ার একটা প্রশ্ন আছে। ঠিক না?
Interview, অন্যান্য, কথাবার্তা, গ্রন্থ
‘নিরন্তর বোঝাপড়া তৈরির জার্নি বলতে পারেন’

এই বইয়ের লেখাগুলো ইতিহাসের ভেতরে বসে, ইতিহাসের নামতা গুনতে গুনতে, সেই ভ্রমণের অংশ হিসেবেই লিখিত হইছে। ফলত এই সব লেখা ইতিহাসের সাথে লেখকের ডায়লগ ও বোঝাপড়ার অংশ। রাষ্ট্র ও রাজনৈতিকতার দিক থেকে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যে বিকার ও সঙ্কট উপস্থিত, তার একটা বাছ-বিচার করার চেষ্টা করেছি বইটির ভূমিকা ও অন্যান্য লেখালেখিতে। কর্তব্য, নীতি, দর্শন ও সমাজতত্ত্বের দিক থেকেও আলাপ তোলার চেষ্টা আছে। কোনো পাঁড় একাডেমিক আলাপ নয়। ডায়লগ ও সম্পৃক্ততার জায়গায় নিরন্তর বোঝাপড়া তৈরির জার্নি বলতে পারেন। নাম প্রবন্ধটি এ ক্ষেত্রে সূত্র হিসেবে ভাবা যেতে পারে- সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও রাজনীতি।