রিফাত হাসানরে বেশ পছন্দ করি, বুদ্ধিজীবী শুনলাম, কিন্তু ওঁর সাথে দুইবার দেখা হইলো, ঐরকম তো কিছু মনে হইলো না। শুধু দেখলাম অনেক প্রশ্ন তোলে, প্রচুর প্রশ্ন তোলে, মাতাল ছিলাম তখন, কী বলছি, হে খোদা, আল্লা মাবুদ জানে। রিফাত হাসান যে অনেক ভালো ছেলে সেই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই, এবং সুদর্শন ও বটে! ও ভালো ছেলে কিন্তু আমাদের মতো খারাপ ছেলেদের সাথে মিশতে রিফাত মোটেও বিরক্তি দেখায় না। আমরা এক সাথে বসে মুড়ি, চানাচুর, সিঙ্গারা, সমুচা খাই, আর রিফাত চা। আর আমরা তখন মদ খাই, আমাদের মাতলামি দেইখা ওঁর শিশুসুলভ প্রশ্রয়ের হাসি দেখি।
শেষবার যখন চিটাগং গেছিলাম তখন আমরা একজন আরেকজনরে অনেক খোঁজাখুঁজি করছিলাম দেখা করার জন্য, আফসোস দেখা হয় নাই, এরপর যখন দেখা হবে তখন দেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান নিয়ে যেতে হবে, রিফাত দেশ নিয়ে ভাবতে ভালবাসেন আর আমি মেয়েদের নিয়ে, রিফাত মনে হয় বলবেন (আশাকরি) আরে ভাই সব ভালোবাসাবাসিই তো এক! আমরা যাদের ভালো চাই তাদেরই তো ভালবাসি!
তো এই রিফাত হাসানের দুইটা বই আছে আমার, প্রথমটা নন ফিকশন, কিছু প্রবন্ধের সংগ্রহ, দ্বিতীয়টা বিভিন্ন লোকজনের সাথে রিফাত হাসানের সাক্ষাৎকার।
গত দশ বছরের বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ঘটনাগুলা নিয়া এই বইগুলোতে রিফাতকে দেখা যাবে আপাতঃ নিরীহ সব প্রশ্ন করতে, যেগুলির উত্তর খুঁজতে গেলে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হবে আমাদের ।
আমার দেখা রিফাত মূলতঃ এরকমই , নিরীহ, মোলায়েম, মসৃন প্রশ্নের ধরণ, সে একা আসে, তাঁর কোন ক্ষমতা দেখি না আমরা, সে একা যায়, মৃদু হেসে প্রশ্ন রেখে যায়, মাতাল অবস্থাতেও সেইসব প্রশ্নের উত্তর ভাবতে গিয়া আমাদের অস্বস্তি হইতে থাকে!
মাহমুদ হাসান, লেখক।