Blogs

রিফাত হাসান

সাম্যবাদী রিকশা, নাগরিকতা, ফিলিস্তিন ও অন্যান্য

July 15, 2014   0 comments   11:34 pm
Primary Author: রিফাত হাসান
আরে, এইটা তো দেখি সাম্যবাদী রিকশা। ছবি. ইন্টারনেট

রিকশায় যাচ্ছিলাম আমি আর মাসুদ। রিকশাওয়ালা স্বগতোক্তির মতো কইলো, মোটর যায় যায়। সেজন্য আস্তে চলে। আমি বললাম, আল্লা আল্লা কইরা আর কদিন চালাও। তারপরে তো আর লাগবে না। সে কইলো, ক্যান? বললাম, সরকার নিষিদ্ধ করছে তো মোটর রিকশা। জানো না? সে কইলো, ধুর, কীয়ের নিষিদ্ধ। এইটা কি খেলা নি। জিন্দেগিতে নিষিদ্ধ হইবো না দেইখেন। আমি বললাম, এইটা হাইকোর্টের রায়। সে কইলো, কোর্ট-ফোর্ট কী হইছে, এই দেশে সব কিছু টাকা দিয়ে বদলানো যায়। আমি কইলাম, এইটা হাইকোর্ট তো। সে কইলো, আপিল হইছে।

Share

রিকশায় যাচ্ছিলাম আমি আর মাসুদ। রিকশাওয়ালা স্বগতোক্তির মতো কইলো, মোটর যায় যায়। সেজন্য আস্তে চলে। আমি বললাম, আল্লা আল্লা কইরা আর কদিন চালাও। তারপরে তো আর লাগবে না। সে কইলো, ক্যান? বললাম, সরকার নিষিদ্ধ করছে তো মোটর রিকশা। জানো না? সে কইলো, ধুর, কীয়ের নিষিদ্ধ। এইটা কি খেলা নি। জিন্দেগিতে নিষিদ্ধ হইবো না দেইখেন। আমি বললাম, এইটা হাইকোর্টের রায়। সে কইলো, কোর্ট-ফোর্ট কী হইছে, এই দেশে সব কিছু টাকা দিয়ে বদলানো যায়। আমি কইলাম, এইটা হাইকোর্ট তো। সে কইলো, আপিল হইছে।

আমি আশ্চর্য হইলাম। ছেলেটার দিকে তাকালাম। ১৮/২০ বছর বয়স হবে। মাসুদরে বললাম, দেখছো, সচেতন হইছে লোকজন এখন। আপিলের খবরও রাখে।

ছেলেটি পেছন ফিরে হাইসা কয়, আমি নাগরিক না? খবর রাখবো না ক্যান?

আমি অবাক হলাম, নাগরিক? সে কইলো, হ। নাগরিক হইছি কয়দিন আগে। আমি বললাম, কেমনে? সে কইলো, ভোটার আইডি কার্ড দিয়া। আমি বললাম, ভোটার কার্ড দিয়া কি নাগরিক হইতে হয়? সে কইলো, হ। যতদিন নাগরিক হইতে পারি নাই, কোথাও গেলে কেউ চাকরি দিত না। রিকশা চালাইতে চাইলাম, তাও মালিক কইলো, ভোটার আইডি কার্ড লাগব। তয়, ভোটার হইলাম অবশেষে। নইলে ত এই রিকশাও চালাইতে পারতাম না। এখন নাগরিক হইছি, তারপরে আবার কোন হালায় যদি কয়, এই রিকশা ব্যান কইরা দেবে, কন তো কেমন লাগে?

মাসুদ হাইসা কয়, নাগরিকতা। ফরহাদ ভাইয়ের নাগরিকতা লোকজন ফরহাদ না পইড়াই অর্জন করতেছে। ভাল তো। আমার দিকে তাকায়া কয়, তুমিও তো নাগরিকতা কপচাও।

আরো বহু আগে, অন্য কোন একদিন, প্রথম মোটর রিকশায় উইঠা আমি এক বন্ধুরে বলতেছিলাম, আরে, এইটা তো দেখি সাম্যবাদি রিকশা। ও কইলো, কেমনে? আমি বললাম, সাম্যবাদী না? এইটাতে তো মানুষরে মানুষের ভার টানাটানি করতে হয় না। যন্ত্রে চলে। মোটর ছাড়া রিকশাতে যেইটা হয়। রিকশাওয়ালাদের কষ্ট বোধ হয় ঘুচলো।

হা কপাল। জানি না এখন এই সাম্যবাদী রিকশার কী উপায় হয়।

আমি অবশ্য যান হিশেবে সব সময় রিকশা পছন্দ করতাম। রিকশার থেকে বড় যন্ত্রযানগুলোতে আমার সমস্যা হত। দূরপাল্লায় গেলে রেল। আর শহরের ভেতরে রিকশা। রিকশা আরাম লাগত, অযান্ত্রিক থাকাকালেও। অযান্ত্রিক রিকশা বরং আরো বেশি আরামের। যন্ত্রযান না নিয়া দূর পাল্লায় রিকশা নিয়া ঘুরতাম, ঘণ্টা হিশেবে। যদিও মনে খচখচ করত, হায়, একটা আমারই মত মানুষ আমার ভার টানতেছেন। রিকশা নিয়ে মাসুদের একটা কবিতা আছে:

শব্দহীন চলমান একটি রিকশার উপর আমরা তিনটি যুবক
ব্যক্তিগত কিছু কারণে আমাদের খুব মন খারাপ
তবু কোন কষ্ট অনুভব হচ্ছে না
আমরা পরস্পরের মন খারাপ দূর করার কথা ভাবছি..

২.

আমি ত রে ভাই কবি হইতে পারলাম না, মিনিমাম একজন সাহিত্যিকও! জীবনে ও সাহিত্যে ধীরে ধীরে পিছাইয়া পড়তেছি আমি। বিকজ আমি ফিলিস্তিন নিয়া কোন কবিতাই লিখতে পারি নাই। এক একটা হট ইস্যু যাইতেছে চোখের সামনে দিয়া, আমি রোজা রাখতেছি, ইফতার খাইতেছি, অফিস করতেছি, অফিসে কলিগ বলতেছে মাসরুর আরেফিন কাফকা অনুবাদ করছেন, সিঁড়ি ভাইঙ্গা নিচে নামতে নামতেও আমি অনুবাদ করার ইচ্ছা জাগাইতে পারতেছি না, ইন ফ্যাক্ট কবিতারে চালান কইরা দিতে পারতেছি না ঘটনার ভিত্রে, আমি আর নাই নাই হইতে হইতে থাইকা যাইতে পারতেছি না; ঘটনার পাশাপাশি খড়কুটো (ইহা সাহিত্য), ভেসে যাইতেছি, দেখা হয়, কয় না কথা টাইপে আটকাইয়া আছি। আমাদের কথা-বার্তা হইতে পারে ত আবার; কি বলে তোমার চোখ, সম্মতি আছে তো তার?

ইমরুল হাসান/ ডাইরি: আষাঢ় ৩০, ১৪২১।

“We will have peace with the Arabs when they love their children more than they hate us.” / Golda Meir, a former Prime Minister of Israel

আজকে গাজা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সভায় গেছিলাম। দেখলাম দেশী হত্যার চেয়ে বিদেশী হত্যার প্রতিবাদ করা অপেক্ষাকৃত সহজ ও নিরাপদ/ বখতিয়ার আহমেদ/ ফেসবুক স্ট্যাটাস

আমি ফেসবুকে লিখছিলাম, বুদ্ধিজীবীরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিকী পাথর নিক্ষেপের আয়োজন করতে পারেন। সাঈদের মত।
আমি ফেসবুকে লিখছিলাম, বুদ্ধিজীবীরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিকী পাথর নিক্ষেপের আয়োজন করতে পারেন। সাঈদের মত।

রাতে রেজা ফোন দিছেন। চিটাগাং প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ হবে। ফিলিস্তিন নিয়া। যাবেন নাকি?

জিজ্ঞাসিলাম, কারা করতেছেন? কইলো, খালেদসহ তাদের কিছু বন্ধু বান্ধব। আপনি যেতে পারেন। চাইলে পাথরও ছুঁড়ে আসতে পারেন।

আমি হাসলাম। আমি ফেসবুকে লিখছিলাম, বুদ্ধিজীবীরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপের আয়োজন করতে পারেন। সাঈদের মত। এইটার প্রতিক্রিয়া। আমি বললাম, দেখি। সুযোগ পেলে যাবো। তবে আপনারা যদি পাথর নিক্ষেপের আয়োজন করেন নিশ্চিত যাবো।

রেজাও হাসল। ফাজলামো? পাথর নিক্ষেপ? ভাবেন তো, লোকজন এই পাথর নিক্ষেপের উসিলা ধইরা রাস্তায় টনকে টন পাথর নিয়া জড়ো হল। সরকার কি বইসা বইসা আঙুল চুষবো? এই পাথর শেষ পর্যন্ত কোন শয়তানের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে, ইজরায়েল নাকি আর কিছু, সরকার কি বুঝবে না? ওরা কি কচি খোকা?

আমি হাসলাম। তাইলে বুঝুন, এত নিরাপদ প্রতিবাদে কী আসে যায়। এইসব ফাজলামোর মানে কী? আপনি তো পুলিশ, বাংলাদেশ রাষ্ট্র, সবকিছু সমঝে চলতে ভালবাসেন, এমন কি ইজরায়েলকেও। এই বস্তুটি এখন নিরাপদ দূরত্বে আছে বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বাহিনী থিকা। তাই একটু প্রতিবাদ প্রতিবাদ খেলা। এর কোন মানে হয়?

ফেসবুকে ইমরান আমার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করছিল, বুদ্ধিজীবীরা পাথর নিক্ষেপ করবেন। তো অবুদ্ধিজীবীরা কী করবেন?

আমি বলতে চাইলাম, আমি তো বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর লোক। নিজের সুবিধামত কর্তব্য অকর্তব্য ঠিক করতেছি মাত্র। তুমিও যেমন। বাস্তবে উত্তর দিলাম, অ-বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধিজীবীদের সাথে শরিক হবেন। বা তারা সরাসরি জিহাদে যেতে চাইতে পারেন। বুদ্ধিজীবীরা তো সেই অর্থে জেহাদি হতে চাইবেন না। প্রবন্ধ, বইপত্র লেখার চাইতে আমার কাছে সাঈদের এই কাজটা অনেক বৈপ্লবিক মনে হইছে। সরাসরি পাথর মারা মানে, অবুদ্ধিজীবীদের সাথে কাজ করতে পারার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। মানে, বুদ্ধিজীবীতা এবং অবুদ্ধিজীবীতার মধ্যে যে শ্রেণী ও সুবিধাগত ফারাক কিছু লোক কইরা থাকেন, তারে না করে দেওয়ার সম্ভাবনা বাতলানো।

আরজুর কমেন্ট বেশ ইন্টারেস্টিং। সে বললো, ইজরেলিদের গাজাভিযান বরাবরই এই এক মহান সুযোগ তৈরি করে বাম, প্রায় বাম, ইসলামি, প্রায়িসলামি ক্রাউডের জন্য।

বললাম, হাঁ। কথাটা মিথ্যে নয়। কারণ, দেখুন, এই মহান ক্রাউডের ভেতরে শাপলা চত্বর ও আরো সব অগুনতি খুনের কশাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রও সহর্ষে অংশগ্রহণ করে। ইজরায়েলের গাজা গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে মিডিয়ার সামনে আসেন সেদিনের শাপলা চত্বরে সরকারি অভিযানের সেই হুকুমদাতা, যিনি আর একদিন আর একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শাপলা অভিযানের প্রকাশ্য হুকুম দিছিলেন।

৩.

‘Listen to your caliph and obey him. Support your state, which grows every day. The legality of all emirates, groups, states and organizations becomes null by the expansion of the caliph’s authority and the arrival of its troops to their areas.’/ audio statement of ISIS
আইএসআইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদী (খলিফা ইব্রাহিম: উপাধি)
আইএসআইএস নেতা আবু বকর আল বাগদাদী (খলিফা ইব্রাহিম: উপাধি)

জগত এখন খেলাফতময়।

যেখানেই কোন কিছু ঘটে, তারপরের প্রশ্ন এই বিষয়ে খেলাফত কী বলে? যেমন, ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের হামলা। তো, খেলাফত চুপ কেন? কারণ ইরাকে খেলাফত ঘোষণা হইছে।

সেদিন তৈয়বরে জিজ্ঞাসিলাম, হঠাৎ এই খেলাফত প্রশ্নরে আপনার কী মনে হয়? কারণ এ বিষয়ে তৈয়বের লেখালেখি ও তৎপরতা দেখেছি বেশ।

তৈয়ব কইলেন, এখনো তেমন ভাইবা উঠতে পারি নাই। কিছু প্রতিবেদন লিখছি

কয়েকটি নিউজ চ্যানেলের খবর মিলায়া। এইটা তো প্রফেশনাল কাজ। এর বেশি কিছু না।

আমি কইলাম, কারজাভির ফতওয়ারে নিয়া কী ভাবতেছেন? কারজাভি তো ফতওয়া দিল, এই খেলাফত বৈধ না।

তৈয়ব: আপনি কী ভাবেন?

আমি: কারজাভি তো পপুলার পলিটিক্যাল ডিসকোর্সের ভেতর থিকা কথা বলতেছেন। আমরা যেমন কই, সম্মতিই বৈধতা। কারজাভিরও মত, এই খেলাফত সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধিত্ব করে না। সবার সম্মতি নেই। তাই বৈধ না। এইটা তো বৈধতার আধুনিক বয়ান। মানে, খেলাফতের ঘটনারে এখানে একটি রাজনৈতিক প্রশ্ন হিশেবে দেখা হল। তাইলে এই আলাপ ফতওয়া আকারে কেন? বা খলিফা কেন খলিফা আকারেই হাজির থাকতে চান? বৈধতার এই পপুলার বয়ানের বাইরে কারজাভির ধর্মতত্ত্ব কী বলে? তা তো এই ফতওয়ায় আসে নাই।

তৈয়ব কইলেন, ধর্মতত্ত্বে না গিয়া এই ঘটনার পলিটিকস বা পলিটিক্যাল ইমপ্যাক্ট নিয়া আমরা কথা বলতে পারি।

আমি বললাম, সে সম্ভব নয়। ধর্মতত্ত্বে না গিয়ে পলিটিকস আলোচনা কমিউনিস্টদের ধরন। এইটাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মুসলমানরা নেবে না। কারণ খেলাফত শব্দটি ইটসেল্ফ ধর্ম প্রশ্ন হাজির করে, অন্তত ভাষায়। এই ভাষাটা পরিষ্কার করে বুঝতে হবে না? মুসলমান যখন কয়, খেলাফতের ডাক আসছে, হে মুসলিম চলো! — তখন এইটা যে ধর্ম প্রশ্নে সে সাড়া দিতে চায়, তারে আগে ফয়সালা করতে হবে না? তারে যদি না বুঝতে পারেন, তাইলে এইটার পলিটিকস কেমনে নির্ণয় করবেন। সেদিনের আলাপ এইভাবে শেষ হল।

পলিটিক্যাল ফয়সালা তো করতে হবেই। তার আগে এখানে ধর্ম প্রশ্ন আদৌ সম্ভব কি, বা হাজির আছে কি-না, তারও বাছ-বিচার খাড়া করা দরকার।

সেদিন মুঈন উদ্দিন স্যারের বাসায় গেছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম, স্যার খেলাফত কী? স্যার বলেন, এইটা কল্পনা। বললাম, কেমন? স্যার যা বললেন তার সারকথা হলো, রাসুলুল্লাহর পরে নেতৃত্ব পিপাসুগণ এইটা কল্পনা করে নিছিলেন। রসুলুল্লাহর জীবিতাবস্থায় কোন খেলাফত প্রশ্ন সামনে আসে নাই। আমি বললাম, এই ব্যাপারটা তো কোরআন শরীফে আছে। স্যার বললেন, কই। আমি বললাম, ঐ যে, একটি আয়াত যেখানে বলা হল, আমি দুনিয়াতে আমার খলিফা পাঠাচ্ছি। স্যার বললেন, এইটা তো আছে। এইটার সাথে পরে যে খেলাফতের কথা চাউর হইছে তার কোন সম্পর্ক নেই। এখানে পপুলারলি যে খেলাফতের কথা আসে, তার মানে হচ্ছে, কে পেছনে থাকবে। মানে রসুলুল্লাহর পেছনে কে থাকবে, রসুলুল্লাহর এন্তেকালের পর। এই খেলাফতের সাথে কোরআনের ঐ আয়াতের কোন সম্পর্ক নেই। স্যারের তাড়াহুড়ো ছিল। স্যারকে বললাম, আমাকে একটু সময় দেবেন স্যার, আপনার একটা সাক্ষাৎকার নেবো এই বিষয়ে। ভীষণ জরুরি।

অধ্যাপক মুঈন-উদ-দীন আহমদ খান (জন্ম. ১৯২৬); ছবি. রিফাত হাসান ২০১৪
অধ্যাপক মুঈন-উদ-দীন আহমদ খান (জন্ম. ১৯২৬); ছবি. রিফাত হাসান ২০১৪

আমরা সেদিন চলে আসলাম। স্যারের সাক্ষাৎকারটা নিয়ে নেবো ভাবতেছি। একদিন নিশ্চয়ই নেবো। স্যারের সময়ের অভাব নেই। আমারই শুধু প্রস্তুতি দরকার।

এই অবসরে আমার কথাটি বলে নেই। আমার মনে হয়, জগতে ইনসাফের বাইরে কোন খেলাফত প্রশ্ন নেই। জিহাদ নেই। কোন ধর্মরাজ্য নেই। সবই পুঁজি ও ক্ষমতাব্যবস্থার পুজারি ও স্টেক হোল্ডারদের কল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা মাত্র।

ডিসক্লেইমার: এই লেখার পাত্রপাত্রিরা বাস্তবে থেকে থাকলেও তাদেরকে কাল্পনিক ধইরা নিতে হবে। কারণ ডায়লগগুলোর অনেকটাই লেখকের স্বকল্পিত।

Leave the first comment