রিফাত হাসানকে প্রথম চিনি সোশ্যাল মিডিয়া ট্যাগিংয়ের বদৌলতে। এইটা খুব খারাপ ব্যাপার যে সোশ্যাল মিডিয়া ‘ব্যক্তি’ সম্পর্কে অনেস্ট আইডিয়া দেয়না, একটা শ্যাডো দেয় মাত্র। এই শ্যাডো পরবর্তীতে ম্যাজ তৈরি করে।

রিফাত হাসানের বইটা, ইটস্ আ গুড রিডিং। এটার একটা কারণ হচ্ছে যে হি হ্যাজ আ সিমপ্যাথেটিক টোন। উনি যে কথাটা বলছেন, উনি একটা এনগেজমেন্টের জায়গা থেকে, একটা দরদের জায়গা থেকে এই কথাগুলি বলছেন।

আমার দেখা রিফাত মূলতঃ এরকমই , নিরীহ, মোলায়েম, মসৃন প্রশ্নের ধরণ, সে একা আসে, তাঁর কোন ক্ষমতা দেখি না আমরা, সে একা যায়, মৃদু হেসে প্রশ্ন রেখে যায়, মাতাল অবস্থাতেও সেইসব প্রশ্নের উত্তর ভাবতে গিয়া আমাদের অস্বস্তি হইতে থাকে!

এরপর আপনি অভিযোগ অনুযোগ করতে পারেন রিফাত রাইসু ও তাদের সমসাময়িকদের গদ্যে একটা গোলক ধাঁধাঁর প্যাঁচ আছে, পাঠক অনেক সময় খেই হারিয়ে ফেলে, আমি জিজ্ঞাসিব তাতে কি তাদের গদ্যের বৈচিত্র‍্য কমেছে! মোটেই না, বরং নতুন সম্ভাবনাই তৈয়ার হইছে, যেখানে ভাষা ইটসেল্ফ চিন্তার টুল হয়ে উঠতে পারছে।

বছর দুয়েক আগের ঘটনা স্মৃতি থেকে বলছি। এদিক‌ ওদিক হবে। পিনাকী একবার পোস্টে লিখছিলেন, তিনি কাদের ব‌ই পড়েন, তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চান। সেই পোস্টে তিনি রিফাত হাসানের একটি ব‌ইয়ের বিজ্ঞাপন শেয়ার করেন।

রাত্য রাইসু, মাহবুব মোরশেদ, ইমরুল হাসান, পিনাকী ভট্টাচার্য কিংবা জিয়া হাসানের ভাষা এবং সমালোচনার ধরণের থিকা রিফাত হাসান বেটার মনে হইছে আমার।