সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
রিফাত হাসান সম্পর্কিত, সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
চিন্তার পরিবনর্তনশীল মিডিয়মের যুগে রিফাত হাসান পাঠ
যেমন, ‘৫ মে: বন্ধুত্ব, রাষ্ট্র ও মানুষ সম্পর্কের পুনর্বিবেচনা’। এই লেখায় উনি যুক্তি-তর্কের একটা ফ্রেমওয়ার্কে ওনার রাষ্ট্র ও রাজনীতি বিষয়ক আইডিয়াগুলা জেনারেট।, করছেন। হেফাজত আন্দোলনের গোড়ার ভাবটি কেমন, তা নিয়া দুর্দান্ত কিছু পর্যালোচনা হাজির করছেন; হেফাজতের সাথে আওয়ামী গভমেন্টের বোঝাপড়ারে তিনি যেভাবে দেখছেন এখানে, তাতে ওনার লেখালেখিরে ‘আওয়ামী বিরোধিতা’ হিশাবে যারা দেখেন, তারা নিশ্চিত ফাঁপড়ে পড়বেন। এই লেখায় রাষ্ট্র ও রাজনীতি নিয়া রিফাতের কিছু চিন্তা হাজির আছে। পুঁজিতান্ত্রিক বিকাশের হাত ধইরা তৈয়ার হওয়া আধুনিক সেক্যুলার স্টেটের বিভিন্ন ইডিওলজিকাল অ্যাপারেটাস, আইন এবং এর সাথে নাগরিকের সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, একত্ববোধ ও আত্মরক্ষাবোধ থেকে জন্ম নেওয়া রাজনীতির স্রেফ ইডিওলজিতে পর্যবসিত ও অপচিত হওয়া— এসব…
রিফাত হাসান সম্পর্কিত, সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
আতঙ্কবাদী কৃষ্ণচূড়ার সময়ে রিফাত হাসান
আর রিফাত ভাই বাংলা ট্রেডিশনাল কবিতার সাথে একরকম ছেদ তৈরি করেছেন। এটা বড় বিষয়। কবিরা ঐতিহ্যের মায়া, নিজের থেকে নিজে বেরোতে না চাওয়া, নতুন রাস্তায় শহীদ হওয়ার রিস্ক নিতে চায় না। সেই হিসেবে আমার কাছে মনে হয়, রিফাত হাসানের কবিতার বোধবুদ্ধি সাহসিকতায় পরিপূর্ণ। মানে নিজের মত লিখতে চাওয়ার ও পারার সক্ষমতা ও সাহস তার আছে। সেই হিসেবে আমি গুরুত্বসহকারে তার কবিতা পড়ে থাকি।
রিফাত হাসান সম্পর্কিত, সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
রিফাত হাসানের জন্মদিনে..
তো, এর পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালের পরে আসলে আমাদের এখানে চিন্তার জগতে বড় ধরনের উলটপালট ঘটল। অর্থাৎ প্রগতিশীল যে চিন্তাভাবনাগুলো, ঘরানাগুলো, পলিটিক্যাল এলায়েন্সগুলো বা সঙ্গগুলো, পলিটিক্যাল পাঠচক্রগুলো, সেগুলোকে আমরা দেখলাম যে, তারা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং তাদের যে অসাড়তা, অন্তঃসার শূন্যতা সেগুলো আমরা চোখের সামনে দেখলাম। তার ঠিক বিপরীতে না, তার পাশাপাশি আরেকটা চিন্তা যেটা আসলে ইনক্লুসিভ ধরনের, যেটা আমরা বাম রাজনীতির প্রশ্নে বলি, ইসলাম প্রশ্নে বলি, বিভিন্ন প্রশ্নগুলোকে আরেকটু গভীর থেকে অর্থাৎ দেখার আরেকটা দৃষ্টিভঙ্গি যেটা আমাদের সোসাইটিতে কখনো ছিল না তা না, খুব ক্ষীণ আকারে ছিল সেই দৃষ্টিভঙ্গিটা— রিফাতের মধ্য দিয়ে আবার আমরা পাই আর কি। মানে আমাদের…
রিফাত হাসান সম্পর্কিত, সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
ব্যক্তি, সমাজ, রাজনীতি
এগুলারে আমি কেন নিতে পারলাম পরে? মানে পরে মনে হইল যে, হ্যাঁ, তাইতো আসলে। মানে কাওকে ট্যাগ দিয়া মাইরা ফেলা হবে আর সেটাকে বৈধতা দেয়া হবে কেন? তো এসব ব্যাপারে ক্রিটিক্যাল হয়ে উঠার পেছনে লাইক রিফাত ভাই, রাইসু ভাই, এরা হেল্প করতে থাকলো। পরে মানে আফটার শাহবাগ এন্ড শাপলা আমরা দেখছি প্রতিপক্ষকে কীভাবে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে বা কোরান ও ইসলাম বিরোধী বলে দমন করা হয়েছে, হচ্ছে। ফলে আমরা দমনমূলক সোসাইটিকে আলাপ আলোচনা মূলক তথা ক্রিটিক্যাল করে তোলার অবস্থান নেই।
রিফাত হাসান সম্পর্কিত, সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
রিফাত হাসানের জন্মদিনে যা যা মনে এলো
রিফাত হাসানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসতে আসতে মনে পড়তেছিলো, আমরা কীভাবে রিফাত হাসানকে চিনলাম। সেটা খুব ইন্টারেস্টিং। আপনাদের শুনলে হয়ত ভালো লাগবে, আবার খারাপও লাগতে পারে। সামহোয়ার ইন ব্লগে রিফাত হাসান যখন লেখা শুরু করলেন, তখন একজন আমাকে বললেন, ব্লগে কিন্তু ফরহাদ মজহার লেখেন। আমি বললাম, ফরহাদ মজহার নিজে লিখতেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তবে বেনামে। উনি লিংক দিলেন আমাকে, ব্লগটা রিফাত হাসানের।
রিফাত হাসান সম্পর্কিত, সংস্কৃতি-উদ্যোগের আলাপ
রিফাত হাসানের জন্মদিনে একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্টের ভাবনা
বাংলাদেশে এই সময়ে ডেফিনেটলি রিফাত হাসান একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন। সেটা হয়তো আজকে মূল্যায়ন হবে না। কারণ আমরা যে একটা ভীতিকর কালো সময় পার করছি, সেক্ষেত্রে নিজের জীবন, নিজের সবকিছুকে তুচ্ছ করে নিজের সবকিছু ভুলে যে লেখক, যে সাহিত্যিক, যে চিন্তক বা যে দার্শনিক কথা বলেন, ইতিহাস তাকে স্মরণ করবেন। সেটা কতোটুকু স্মরণ করবে সেটা হয়ত আগামি দিনগুলাতে, সেটা ফুটে উঠবে অথবা উঠবে না। হয়ত তখন আমি থাকবো না বা আমরা অনেকেই থাকবো না। কিন্তু রিফাত হাসানের যে ভূমিকা, আমাদের তরুণদের জন্য, তার যে চিন্তা সেটাকে রিয়ালাইজ করা, সেটাকে ছড়িয়ে দেয়া, সেটাকে ধারণ করা, এটা খুব জরুরী।